বিদায়বেলায় যা রেখে গেছেন দেওয়ানবাগী পীর

আজ সোমবার সকাল ৬টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন দেওয়ানবাগ শরিফের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মাহবুব -এ-খোদা ( দেওয়ানবাগী পীর) (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন তিনি। তার মৃত্যুর খবর শুনে তার অনুসারীরা মতিঝিলের দেওয়ানবাগ শরিফে আসতে শুরু করেছেন। ইসলাম নিয়ে নানা সময়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
এক নজরে জেনে নেয়া যাক বিতর্কিত দেওয়ানবাগী পীরের কর্মজীবন ও সুফী সম্রাট হয়ে উঠার গল্প…
১৯৭১ সালে দেওয়ানবাগী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন বলে বিভিন্ন সময় শোনা গেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ৩নং সেক্টরের কমান্ডার শফিউল্লাহ সাহেবের সুপারিশে সেনাবাহিনীর ১৫ নং বেঙ্গল রেজিমেন্টে ইমামতির চাকুরী নেন। পরবর্তীতে ফরিদপুর চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরীর হাতে জ্ঞান অর্জন করেন। এর কিছুদিন পরে নারায়নগঞ্জের দেওয়ানবাগ এলাকায় নিজের আস্তানা গঠন করে নিজেকে সুফী সম্রাট” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এখানেই শেষ নয়, এরপর মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগ ঢাকা-১০০০তে বাবে রহমত নামে আরেকটি দরবার স্থাপন করেন। এই বাবে রহমত থেকেই তার তত্ত্বাবধানে আত্নার বানীসহ বেশ কয়েকটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
এক নজরে দেওয়ানবাগীর বিতর্কিত সব উক্তিসমূহ:
১.“শুধু আমি নই, আমার স্ত্রী কন্যাসহ লক্ষ লক্ষ মুরিদরাও আল্লাহকে দেখেছে”-সূত্র: সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ
২.“দেওয়ানবাগে আল্লাহ ও সমস্ত নবী রাসূল, ফেরেস্তারা মিছিল করে এবং আল্লাহ নিজে স্লোগান দেন”-সূত্র: সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ, মার্চ ১৯৯৯ ইং
৩.“জিব্রাইল বলতে আর কেও নন, স্বয়ং আল্লাহ-ই-জিব্রাইল”-সুত্র:মাসিক আত্নার বাণী, ৫ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা: ২১
৪.“মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হায়াতে জিন্দেগীকে পুলসিরাত বলা হয়”-সুত্র: আল্লাহ কোন পথে, তৃতীয় সংস্করণ:৬০
এখানেই শেষ নয় নিজেকে ইমাম মাহাদী দাবী করে তুমুল সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। এরপর দরুদে মাহদী রচনা করেন।
দরুদে মাহদী:
“আল্লাহুম্মা ছাল্লী আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আ’লা ইমাম মাহদী রাহমাতাল্লিল আলামীন ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম”
এ বিষয়ে আরো জানতে ভিজিট করুন: https://www.facebook.com/rajtvbd